Header Ads

Header ADS

Shahrukh Khan lifestory/Shahrukh Khan Biography

শাহরুখ খানের জীবনী-Shahrukh Khan Biography






নামঃশাহরুখ খান
sharukh khan
জন্মঃ২ নভেম্বর ১৯৬৫ (বয়স ৫৪)
জন্মস্থানঃ নতুন দিল্লি, ভারত
জাতীয়তাঃভারত ,ভারতীয়
অন্যান্য নামঃকিং খান
বাদশাহ খান
কিং অব বলিউড
কিং অব রোম্যান্স
বাবাঃমীর তাজ মোহাম্মদ খান 
মাঃলতিফ ফাতিমা 
স্ত্রীঃগৌরী খান
সন্তানঃআরিয়ান খান, সুহানা খান, আব্রাম খান                   
শিক্ষাঃস্নাতক 
ধর্মঃ ইসলাম





শৈশব জীবন এবং পরিবার

খান ১৯৬৫ সালের ২রা নভেম্বর নতুন দিল্লির এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তার পিতা ভারতের নতুন দিল্লির পাঠান বংশোদ্ভূত। তার পিতা মীর তাজ মোহাম্মদ খান ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের কর্মী ছিলেন। তিনি খান আবদুল গাফফার খানের অনুসারী ছিলেন এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসর সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পেশাওয়ারে (বর্তমান পাকিস্তান) বসবাস করতেন এবং ১৯৪৮ সালে ভারত বিভাজন হওয়ার পরে পেশাওয়ারের কিসা খাওয়ানি বাজার থেকে নতুন দিল্লি চলে আসেন।খানের মতে, তার পিতামহ মীর জান মুহাম্মদ খান আফগানিস্তানের পশতুন জনগোষ্ঠীর একজন ছিলেন।২০১০ সালের হিসাব অনুসারে, খানের পিতার পরিবারের কিছু অংশ এখনো কিসা খাওয়ানি বাজারে বসবাস করছেন।শাহরুখ খানের মাতা লতিফ ফাতিমা ছিলেন উর্ধ্বতন সরকারী প্রকৌশলী ইফতিখার আহমেদের কন্যা। তার মায়ের পরিবার ব্রিটিশ ভারতের রাওয়ালপিন্ডি থেকে এসেছিলেন।

খান মধ্য দিল্লির সেন্ট কলুম্বাস স্কুলে পড়াশোনা করেন, সেখানে তিনি লেখাপড়া এবং হকি ও ফুটবল খেলায় ভালো করেন। তিনি এই স্কুলের সর্বোচ্চ পুরস্কার সোর্ড অব অনার লাভ করেন। শুরুতে খান খেলাধুলায় তার কর্মজীবন শুরু করার কথা ভাবেন, কিন্তু তার কাঁধের একটি আঘাতের কারণে তিনি আর খেলাধুলা করতে পারবেন না বলে মনে করেন।খেলাধুলার পরিবর্তে তিনি যৌবনে মঞ্চনাটকে অভিনয় করতেন এবং বলিউডের অভিনেতাদের নকল করে তিনি প্রশংসা অর্জন করেন। তার প্রিয় অভিনয়শিল্পী ছিলেন দিলীপ কুমার, অমিতাভ বচ্চন ও মুমতাজ।তার শৈশবের একজন বন্ধু ও অভিনয়ের সঙ্গী ছিলেন অমৃতা সিং, যিনি পরবর্তী কালে বলিউডে অভিনয় করেন। খান হংসরাজ কলেজে (১৯৮৫-৮৮) অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের জন্য ভর্তি হন, কিন্তু তার বেশিরভাগ সময় দিল্লির থিয়েটার অ্যাকশন গ্রুপের (টিএজি) সাথে কাটান। যেখানে তিনি মঞ্চ পরিচালক ব্যারি জনের অধীনে অভিনয়ের পাঠ গ্রহণ করেন। হংসরাজ কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে তিনি জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় গণযোগাযোগ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের জন্য ভর্তি হন, কিন্তু অভিনয় জীবন শুরুর লক্ষ্যে তিনি স্নাতকোত্তর সম্পন্ন না করেই এই প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করেন।বলিউডের তার কর্মজীবন শুরুর সময়ে তিনি দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামাতেও অভিনয়ের পাঠ গ্রহণ করেন। তার পিতা ১৯৮১ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন,[খ] এবং তার মাতা ১৯৯১ সালে বহুমূত্রের জটিলতায় মৃত্যুবরণ করেন।খানের শেহনাজ লালারুখ (জ. ১৯৬০) নামে একজন বড় বোন আছে, যিনি তাদের পিতামাতার মৃত্যুর পর বিষাদগ্রস্থ হয়ে পড়লে খান তার সেবা-যত্নের দায়িত্ব নেন। শেহনাজ এখনো তার ভাই ও তার পরিবারের সাথে মুম্বইয়ের বাড়িতে বসবাস করছেন।তার জন্ম নাম শাহরুখ খান (অর্থ "রাজ মুখ") রাখা হলেও কিন্তু তার নাম শাহ রুখ খান লিখতে পছন্দ করেন।
এছাড়াও সাধারণত তাকে তার নামের সংক্ষেপ এসআরকে নামে ডাকা হয়।


শাহরুখ খানের বিবাহ জীবন


sharukh khan family
২৫শে অক্টোবর ১৯৯১ সালে, শাহরুখ খান বিয়ে করেন তার যৌবন বয়সের প্রেমিকা গৌরী চিব্বারের সাথে, যিনি কিনা একজন পাঞ্জাবী হিন্দু ছিলেন | ৬ বছর ধরে তারা একে অপরকে ভালোবাসতেন এবং অবশেষে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন পরবর্তীকালে |সেই বিয়ে কিন্তু ইসলাম ধর্ম অনুসারে হয়নি, হয়েছিল হিন্দু ধর্ম অনুসারে | বিয়ের ৬ বছর পর অর্থাৎ ১৯৯৭ সালে অবশেষে তাদের প্রথম সন্তান হয় যার নাম তারা রাখেন আরিয়ান খান | এরপর তাদের আরো দুটো সন্তান হয় যাদের নাম যথাক্রমে- সুহানা খান (২০০০) ও আব্রাম খান (২০১৩) রাখা হয় |তার সন্তানরাও তারই মতো দুটো ধর্মকেই গভীরভাবে শ্রদ্ধা এবং ভক্তি করে | তাদের ঘরে যেমন ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কোরান আছে, সেইসাথে আছে হিন্দু সব দেব-দেবীর মূর্তিও |এক কথায় যদি বলতে হয়, তাহলে তিনি হলেন সমস্ত হিন্দু ও মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষের কাছে এক অনুপ্রেরণা | তাকে দেখে আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের শেখা উচিত |



অভিনয় জীবন

sharukh khan/kajol
শাহরুখ খানের প্রধান চরিত্রে প্রথম কাজ ছিল লেখ ট্যান্ডনের টেলিভিশন ধারাবাহিক দিল দরিয়া। ১৯৮৮ সালে ধারাবাহিকটির শুটিং শুরু হয়, কিন্তু নির্মাণ বিলম্বের কারণে ১৯৮৮ সালে রাজ কুমার কাপুর পরিচালিত ফৌজি টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনেতা হিসেবে তিনি আত্মপ্রকাশ করেন।এই ধারাবাহিকে আর্মি ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়, এবং তিনি কমান্ডো অভিমন্যু রাই চরিত্রের অভিনয় করেন।এরপর তিনি সাধারণ সার্কাস অভিনেতার জীবন নিয়ে নির্মিত আজিজ মির্জার টেলিভিশন ধারাবাহিক সার্কাস (১৯৮৯-১৯৯০)-এ কেন্দ্রীয় ভূমিকায় অভিনয় করেন এবং মণি কৌলের মিনি ধারাবাহিক ইডিয়ট (১৯৯১)-এ অভিনয় করেন।এছাড়া তিনি উম্মীদ (১৯৮৯) ও ওয়াগলে কি দুনিয়া (১৯৮৮-৯০) ধারাবাহিকে এবং অরুন্ধতী রায়ের ইংরেজি ভাষার ইন হুইচ অ্যানি গিভস ইট দোজ ওয়ানস (১৯৮৯) টেলিভিশন চলচ্চিত্রে গৌণ চরিত্রে অভিনয় করেন। এইসব ধারাবাহিকে তার অভিনয় দেখে সমালোচকগণ তার অভিনয়ের কৌশলকে দিলীপ কুমারের অভিনয়ের সাথে তুলনা করেন, কিন্তু খান তখনো চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য যথেষ্ট ভালো নন এই বিবেচনায় চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রতি আগ্রহী ছিলেন না।খান ১৯৯১ সালের এপ্রিলে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন, এবং এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন যে তিনি তার মায়ের মৃত্যুর দুঃখ ভুলতে চেয়েছিলেন।

তিনি বলিউডে পূর্ণকালীন কর্মজীবন শুরু করার লক্ষ্য নিয়ে দিল্লি থেকে মুম্বই পাড়ি জমান এবং অচিরেই চারটি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হন।ফৌজিতে তার অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি হেমা মালিনীর নজর কাড়েন। হেমা মালিনী তাকে তার পরিচালনায় অভিষেক চলচ্চিত্র দিল আশনা হ্যায়-তে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। জুন মাসের মধ্যে তিনি তার প্রথম চলচ্চিত্রের শুটিং শুরু করেন। তার অভিনীত প্রথম ছবি দিল আশনা হ্যায় হলেও ১৯৯২ সালের জুনে মুক্তিপ্রাপ্ত দিওয়ানা ছবির মধ্য দিয়ে তার বড় পর্দায় অভিষেক হয়। এ ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন দিব্যা ভারতী এবং তিনি ঋষি কাপুরের পর দ্বিতীয় প্রধান পুরুষ চরিত্রে অভিনয় করেন। দিওয়ানা ছবিটি বক্স অফিসে ব্যবসাসফল হয় এবং তিনি বলিউডে তার কর্মজীবন শুরু করতে সক্ষম হন। এই ছবিতে তার কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন।একই বছরে মুখ্য চরিত্রে তার প্রারম্ভিক চলচ্চিত্রসমূহ চমৎকার, দিল আশনা হ্যায় ও রাজু বন গয়া জেন্টলম্যান মুক্তি পায়। শেষোক্ত চলচ্চিত্রে তিনি অভিনেত্রী জুহি চাওলার সাথে জুটি গড়েন, যার সাথে জুটিবদ্ধ হয়ে তিনি পরবর্তী কালে আরও অনেকগুলো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।


১৯৯৩-৯৪: খলনায়ক
sharukh khan


১৯৯৩ সালে বাজীগর ও ডর ছবিতে খলচরিত্রে অভিনয় করে তিনি বিপুল খ্যাতি পান। ডর ছবিতে শাহরুখ একজন অপ্রকৃতস্থ প্রেমিক এবং বাজিগর ছবিতে একজন খুনীর ভূমিকায় অভিনয় করেন।ডর চলচ্চিত্র নির্মাতা যশ চোপড়া ও তার কোম্পানি যশ রাজ ফিল্মসের সাথে তার অনেকগুলো কাজের মধ্যে প্রথম কাজ। খানের তোতলানো ও "আই লাভ ইউ, কি-কি-কি-কিরণ" শব্দগুচ্ছ দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ডর ছবিতে তার কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ খল অভিনয়শিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন, কিন্তু স্যার ছবিতে অভিনয়ের জন্য মনোনয়নপ্রাপ্ত পরেশ রাওয়ালের কাছে হেরে যান।বাজিগর ছবিতে প্রেমিকাকে খুন করা উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রতিশোধপরায়ণ খুনী চরিত্রে অভিনয় করে বলিউডের তথাকথিত সূত্রে অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন এনে ভারতীয় দর্শকদের চমকে দেন।দ্য ক্যামব্রিজ কম্প্যানিয়ন টু মডার্ন ইন্ডিয়ান কালচার-এ সোনাল খুল্লার এই চরিত্রটিকে "অতিমাত্রায় দক্ষ খল-নায়ক" বলে অভিহিত করে।এই ছবিতে তিনি প্রথমবারের মত অভিনেত্রী কাজলের সাথে জুটি বাঁধেন, যার সাথে তিনি পরবর্তী কালে সফল ও দীর্ঘস্থায়ী জুটি গড়ে তোলেন। বাজিগর ছবিতে তার কাজের জন্য জন্য তিনি তার কর্মজীবনের প্রথম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন।

২০০৩ সালে এনসাইক্লোপিডিয়া অব হিন্দি সিনেমা উল্লেখ করে যে খান "এই দুটি চলচ্চিত্রে প্রথাগত নায়কের প্রতিমূর্তি উপেক্ষা করেন এবং নিজস্ব সংশোধিত সংস্করণ সৃষ্টি করেন।" একই বছর তিনি কেতন মেহতার বিতর্কিত আর্টহাউজ চলচ্চিত্র মায়া মেমসাব-এ দীপা সাহীর সাথে একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করেন। সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন ছবিটির এই দৃশ্যটির কয়েকটি অংশের সেন্সর প্রদান করে। এই নিশ্চিত বিতর্ক তাকে পরবর্তী কাজগুলোতে এমন দৃশ্য এড়িয়ে যেতে তৎপর করে।১৯৯৪ সালে তিনি কুন্দন শাহের হাস্যরসাত্মক নাট্যধর্মী কাভি হাঁ কাভি না ছবিতে একজন ব্যর্থ যুবক ও প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয় করেন।দীপক তিজোরি ও সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তির সাথে অভিনয় করা এই ছবিতে তার ভূমিকাকে তিনি পরবর্তী কালের তার প্রিয় চরিত্র বলে উল্লেখ করেন। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০৪ সালে এক ফিরে দেখা পর্যালোচনায় রেডিফ.কমের সুকন্যা বর্মা এই কাজটিকে খানের সেরা কাজ বলে উল্লেখ করে বলেন, "তিনি স্বতঃস্ফূর্ত, নমনীয়, বাল্যসুলভ, দুষ্টু, কিন্তু অভিনয় করেছেন মন থেকে।" একই বছর তিনি আঞ্জাম ছবিতে মাধুরী দীক্ষিত ও দীপক তিজোরির সাথে অভিনয় করেন। ছবিটি ব্যবসাসফল হয়নি, তবে সাইকোপ্যাথ হিসেবে তার অভিনয় সমাদৃত হয় এবং তিনি শ্রেষ্ঠ খল অভিনয়শিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন।সে সময়ে বলিউডে কোন মুখ্য অভিনেতার জন্য খল চরিত্রে অভিনয় করাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে গণ্য করা হতো। অর্ণব রায় এই ধরনের "পাগলাটে ঝুঁকি" নেওয়ার জন্য এবং এই রকম চরিত্র নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে বলিউডে তার কর্মজীবন প্রতিষ্ঠার জন্য শাহরুখ খানের প্রশংসা করেন।পরিচালক মুকুল এস. আনন্দ তাকে সে সময়ে "চলচ্চিত্র শিল্পের নতুন মুখ" বলে অভিহিত করেন।


রোমান্টিক নায়ক ১৯৯৫-৯৮
sharukh khan/kajol


১৯৯৫ ছিল তার জন্য খুব সাফল্যের বছর এবং এই বছরে তিনি সাতটি চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন। প্রথমটি ছিল রাকেশ রোশন পরিচালিত প্রণয়নাট্যধর্মী রোমহর্ষক করন অর্জুন। এতে তিনি সালমান খান ও কাজলের সাথে অভিনয় করেন। ছবিটি এই বছরে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র।এই বছরে তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল আদিত্য চোপড়ার পরিচালনায় আত্মপ্রকাশ করা দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে। এতে তিনি প্রবাসী ভারতীয় যুবক চরিত্রে অভিনয় করেন, যিনি ইউরোপ জুড়ে ভ্রমণকালে কাজলের চরিত্রের প্রেমে পড়েন। খান শুরুতে প্রেমিক চরিত্রে অভিনয়ের ব্যাপারে সংযত ছিলেন, কিন্তু এই চলচ্চিত্রটি তাকে "প্রণয়ধর্মী নায়ক" হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।সমালোচক ও দর্শকদের নিকট থেকে প্রশংসা অর্জনকারী ছবিটি সেই বছরে ভারত ও দেশের বাইরে সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র। বিশ্বব্যাপী ₹১.২২ বিলিয়ন আয়কারী ছবিটিকে বক্স অফিস ইন্ডিয়া "সর্বকালের ব্লকবাস্টার" বলে ঘোষণা দেয়। এটি ভারতের চলচ্চিত্রের ইতিহাসের দীর্ঘতম সময় ধরে চলা চলচ্চিত্র, যাকে তুলনা করা যায় শোলের সাথে যা ২৬০ সপ্তাহ চলেছিল।

 এখনো মুম্বইয়ের মারাঠা মন্দির থিয়েটারে ছবিটি প্রদর্শিত হচ্ছে এবং ২০১৫ সালের শুরুর হিসাব অনুসারে ছবিটি ১০০০ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে প্রদর্শিত হচ্ছে। ছবিটি দশটি বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করে, এবং খান শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে তার দ্বিতীয় ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।১৯৯৬ সালে তার অভিনীত চারটি চলচ্চিত্র - ইংলিশ বাবু দেশি মেম, চাহাত, আর্মি, ও দুশমন দুনিয়া কা মুক্তি পায়, কিন্তু সবকয়টি ছবিই সমালোচনামূলক ও ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যর্থ হয়।পরের বছর তার অভিনীত পাঁচটি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। বছরের শুরুতে মুক্তিপ্রাপ্ত গুদগুদি ও কয়লা ছবি দুটি স্বল্প আয় করে। আজিজ মির্জার প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক ইয়েস বস ছবিতে আদিত্য পাঞ্চোলি ও জুহি চাওলার সাথে অভিনয় করে তিনি তার অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হন এবং তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।১৯৯৭ সালের খানের অভিনীত শেষ চলচ্চিত্র হল যশ চোপড়ার সঙ্গীতধর্মী প্রণয়মূলক দিল তো পাগল হ্যায় (১৯৯৭)।এতে তিনি রাহুল নামে এক মঞ্চ নির্দেশকের চরিত্রে অভিনয় করেন, যাকে মাধুরী দীক্ষিত ও কারিশমা কাপুরের সাথে ত্রিভুজ প্রেমের দৃশ্যে দেখা যায়। ছবিটি ও তার অভিনয় সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা অর্জন করে এবং তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে তার তৃতীয় ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।১৯৯৮ সালে খান তিনটি চলচ্চিত্রে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন এবং একটি চলচ্চিত্রে তাকে বিশেষ চরিত্রে দেখা যায়। এই বছরে তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র হল মহেশ ভাটের ডুপ্লিকেট, এতে তিনি জুহি চাওলা ও সোনালী বেন্দ্রের বিপরীতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন।


পুনরুত্থান ও বর্তমান
srk/cat/anuska


২০০৪ ছিল শাহরুখ খানের জন্য সমালোচনামূলক ও ব্যবসায়িকভাবে সফল একটি বছর। তিনি ড্রিমজ আনলিমিটেডকে রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট নাম দিয়ে প্রতিস্থাপন করেন এবং তার স্ত্রী গৌরীকে প্রযোজক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন।এই কোম্পানি থেকে নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ম্যায় হুঁ না (২০০৪), এটি নৃত্য পরিচালক ফারাহ খান পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র। পাকিস্তান-ভারতের সম্পর্ক নিয়ে কাল্পনিক চলচ্চিত্রটিকে কয়েকজন সমালোচক পাকিস্তানকে চিরাচরিত খল হিসেবে দেখানো থেকে সতর্কভাবে দূরে সরা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। খান একই বছর যশ চোপড়ার প্রণয়ধর্মী বীর-জারা ছবিতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাইলট চরিত্রে অভিনয় করেন, যিনি একজন পাকিস্তানি তরুণীর প্রেমে পড়েন।ছবিটি ৫৫তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় ও সমাদৃত হয়। এটি ২০০৪ সালে ভারতে সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র, যা বিশ্বব্যাপী ₹৯৪০ মিলিয়ন আয় করে। এছাড়া ম্যায় হুঁ না ₹৬৮০ মিলিয়ন আয় করে সে বছরের সর্বোচ আয়কারী চলচ্চিত্রের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।২০০৫ সালে খান অমল পালেকরের কল্পনাধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র পহেলি-তে অভিনয় করেন। পরের বছর তিনি তৃতীয়বারের মত করণ জোহরের পরিচালনায় কাজ করেন। কাভি আলবিদা না কেহনা ছবিতে। ছবিটি ভারতে মোটামুটি ব্যবসা করলেও বিশ্বব্যাপী ₹১.১৩ বিলিয়ন আয় করে। ২০০৭ সালে শাহরুখের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ছিল যশ রাজ ফিল্মসের অর্ধ-কল্পনাধর্মী ক্রীড়া বিষয়ক চলচ্চিত্র চাক দে! ইন্ডিয়া।এতে তিনি একজন সম্মানহানি হওয়া হকি খেলোয়াড় চরিত্রে অভিনয় করেন, যিনি পরবর্তী কালে কোচ হিসেবে হকি বিশ্বকাপে ভারতীয় জাতীয় নারী হকি দলকে সফলতা এনে দেন।

এই বছরে তার মুক্তিপ্রাপ্ত অন্য ছবি হল রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট থেকে নির্মিত ফারাহ খানের পুনর্জন্ম সম্পর্কিত অতিনাটকীয় চলচ্চিত্র ওম শান্তি ওম।এই ছবিতে তাকে ৩০ জনের বেশি নামী অভিনয়শিল্পীর সাথে একটি গানের দৃশ্যে দেখা যায়। এটি দেশে ও দেশের বাইরে ২০০৭ সালের সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবি। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য এই বছর তিনি তার দ্বিতীয় ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।২০০৮ সালে প্রণয়মূলক নাট্যধর্মী রব নে বানা দি জোড়ি ছবিটির মাধ্যমে তিনি তৃতীয় বারের মত আদিত্য চোপড়ার পরিচালনায় কাজ করেন।এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন নবাগত অনুষ্কা শর্মা।২০০৯ সালে তিনি বিল্লু ছবিতে বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেন।২০১১ সালে খান অনুভব সিনহার বিজ্ঞান কল্পকাহিনিনির্ভর সুপারহিরো চলচ্চিত্র রা.ওয়ান-এ অর্জুন রামপাল ও কারিনা কাপুরের সাথে অভিনয় করেন।২০১২ সালে খানের একমাত্র মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র হল যশ চোপড়া পরিচালিত সর্বশেষ চলচ্চিত্র জব তক হ্যায় জান।এই ছবিতে তিনি পুনরায় তার প্রণয়ধর্মী ধারায় ফিরে আসেন এবং ক্যাটরিনা কাইফ ও অনুষ্কা শর্মার বিপরীতে অভিনয় করেন।

২০১৩ সালে খান রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট থেকে নির্মিত রোহিত শেঠীর মারপিটধর্মী হাস্যরসাত্মক চেন্নাই এক্সপ্রেস চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি মিশ্র সমালোচনামূলক পর্যালোচনা লাভ করে এবং দক্ষিণ ভারতীয় সংস্কৃতির অবমূল্যায়নেরজন্য ব্যাপক সমালোচিত হয়, যদিও ছবিটিতে তামিল চলচ্চিত্র তারকা রজনীকান্তর প্রতি সম্মাননা প্রদর্শন করা হয়।২০১৩ সালের ৭ই মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবসের একদিন পূর্বে, দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রতিবেদন প্রকাশ করে যে খান পর্দায় তার সহ-নারী তারকার নাম তার নামের পূর্বে প্রদর্শনের নতুন রীতি চালু করার অনুরোধ করেন। তিনি দাবী করেন যে তার জীবনে নারীরা, তার সহ-শিল্পীসহ, তার সফলতার অন্যতম কারণ। ২০১৪ সালে তিনি ফারাহ খানের হাস্যরসাত্মক হ্যাপি নিউ ইয়ার চলচ্চিত্রে দীপিকা পাড়ুকোন, অভিষেক বচ্চন ও বোমান ইরানির সাথে অভিনয় করেন। এটি ফারাহ খানের পরিচালনায় তার তৃতীয় চলচ্চিত্র।যদিও তার কাজের জন্য সমালোচিত হন,ছবিটি বিশ্বব্যাপী ₹৩.৮ বিলিয়ন আয় করে ব্যাপক ব্যবসা সফলতা অর্জন করে।


প্রযোজনা ও টেলিভিশন
sharukh khan


শাহরুখ খান ১৯৯৯ থেকে ২০০৩ সালে ড্রিমজ আনলিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে তিনটি চলচ্চিত্র সহ-প্রযোজনা করেন।তাদের অংশীদারত্ব চুক্তি শেষ হওয়ার পর তিনি ও গৌরী রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।এই কোম্পানির চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন নাটক নির্মাণ, ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস ও বিজ্ঞাপন বিভাগ রয়েছে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটি নয়টি চলচ্চিত্র প্রযোজনা বা সহ-প্রযোজনা করেছে।খান প্রায়ই চলচ্চিত্রে নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী হিসেবে গান গেয়ে থাকেন। জোশ (২০০০) চলচ্চিত্রে তিনি "আপুন বোলা তু মেরি লায়লা" গানে কণ্ঠ দেন। এছাড়া তিনি ডন: দ্যা চেজ বিগিন্স এগেইন (২০০৬) ও জব তক হ্যায় জান (২০১২) চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন। রেড চিলিজ থেকে তার প্রযোজিত অলওয়েজ কাভি কাভি (২০১১) চলচ্চিত্রের একটি গীতি সুরায়োজনে তিনি অংশগ্রহণ করেন।কর্মজীবনের শুরুর দিকের টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি টেলিভিশনে প্রচারিত অসংখ্য পুরস্কার আয়োজনের সঞ্চালনা করেন, তন্মধ্যে রয়েছে ফিল্মফেয়ার, জি সিনে ও স্ক্রিন পুরস্কার। ২০০৭ সালে তিনি জনপ্রিয় ব্রিটিশ গেম অনুষ্ঠান হু ওয়ান্টস টু বি আ মিলিয়নিয়ার?-এর হিন্দি সংস্করন কৌন বনেগা ক্রোড়পতি-এর সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেছেন।২০১১ সালে তিনি পুনরায় টেলিভিশন অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ফিরে আসেন এবং উইপআউট-এর হিন্দি সংস্করণ জোর কা ঝটকা: টোটাল উইপআউট-এর সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইমাজিন টিভিতে প্রচারিত অনুষ্ঠানটিতে চিত্রায়ন হয় মুম্বইয়ের যশ রাজ স্টুডিওতে।


ক্রিকেটে যোগদান
KKR


শাহরুখ খান তার রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্টের মাধ্যমে টুয়েন্টি২০ ক্রিকেট আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) অন্যতম মালিক। ২০০৮ সালে তিনি এবং তার বন্ধু ও সহ-অভিনেত্রী জুহি চাওলা ও তার স্বামী জয় মেহতা $৭৫.০৯ মিলিয়ন দিয়ে এই দলটির মালিকানা ক্রয় করেন।২০০৯ সাল পর্যন্ত কেকেআর ছিল আইপিএলের অন্যতম সম্পদশালী দল, যার ব্র্যান্ড মূল্য ছিল $৪২.১ মিলিয়ন। দলটি প্রথম তিন মৌসুম মাঠে সফলতা অর্জন করতে পারেনি।সময়ের ব্যবধানে দলটি সফলতা পেতে শুরু করে এবং ২০১২ সালে তারা প্রথমবারের মত এই আসরের চ্যাম্পিয়ন হয় এবং ২০১৪ সালে পুনরায় চ্যাম্পিয়ন হয়।কেকেআর ১৪টি ম্যাচে টানা জয় পেয়ে কোন ভারতীয় দল হিসেবে টানা সর্বাধিক ম্যাচ জয়ের রেকর্ড করে।


মিডিয়া

sharukh khan
শাহরুখ খান ভারতের গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পেয়ে থাকেন এবং তাকে প্রায়ই "কিং খান", "বলিউডের বাদশাহ" ও "বলিউডের কিং" আখ্যা দেওয়া হয়।বছরে দুই বা তিনটি চলচ্চিত্র, নিয়মিত প্রচারিত টেলিভিশন বিজ্ঞাপন, মুদ্রিত বিজ্ঞাপন ও ভারতের বিভিন্ন শহরের রাস্তার ধারে তার বৃহদাকার বিলবোর্ডের কারণে অনুপমা চোপড়া তাকে "সর্বদা বিরাজমান তারকা" বলে অভিহিত করেন।২০০৮ সালে নিউজউইক তাকে বিশ্বের ৫০ ক্ষমতাশীল ব্যক্তির তালিকায় স্থান দেয় এবং তাকে "বিশ্বের সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র তারকা" বলে অভিহিত করে।একটি জনপ্রিয়তা জরিপ অনুসারে বিশ্বের ৩.২ বিলিয়ন মানুষ শাহরুখ খান সম্পর্কে জানেন, যা টম ক্রুজের চেয়েও বেশি। খান ভারতের সবচেয়ে ধনী তারকাদের মধ্য অন্যতম, তিনি ২০১২, ২০১৩, ও ২০১৫ সালে ফোর্বস-এর ভারতের "১০০ তারকা তালিকা"য় শীর্ষ স্থান অধিকার করেছিলেন।

তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪০০-৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।ভারত ও ভারতের বাইরে খানের একাধিক সম্পত্তির মালিকানা রয়েছে, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল লন্ডনে ২০ মিলিয়ন পাউন্ডের অ্যাপার্টমেন্ট,এবং দুবাইয়ে পাম জুমেইরাহতে একটি ভিলা।খানকে প্রায়ই ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয়, কেতাদুরস্ত ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় দেখা যায়। তাকে নিয়মিত দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া'র ভারতের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত ৫০ জন পুরুষ তালিকার শীর্ষ দশে দেখা যায়।২০০৭ সালে ইস্টার্ন আই সাময়িকীর এক জরিপ অনুসারে তিনি এশিয়ার সবচেয়ে যৌন আবেদনময়ী পুরুষ।তিনি সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গ্রহীতা বলিউড শুভেচ্ছাদূতদের একজন এবং টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে সবচেয়ে বেশিবার দৃশ্যমান তারকাদের একজন। টেলিভিশন বিজ্ঞাপন বাজারে তার উপস্থিতির পরিমাণ মোট বাজারের ৬ শতাংশ।খান পেপসি, নোকিয়া, হুন্দাই, ডিশ টিভি, ডিডেকর, লাক্স, ও ট্যাগ হয়য়ার ব্র্যান্ডের শুভেচ্ছাদূত।

তাকে নিয়ে কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে, এবং দুই-খণ্ডবিশিষ্ট প্রামাণ্যচিত্র দি ইনার অ্যান্ড আউটার ওয়ার্ল্ড অব শাহরুখ খান (২০০৫),[২৭০] ও ডিসকোভারি ট্রাভেল অ্যান্ড লিভিং চ্যানেলের দশ-খণ্ডের মিনি ধারাবাহিক লিভিং উইথ আ সুপারস্টার-শাহরুখ খান (২০১০)-সহ কয়েকটি অকল্প চলচ্চিত্রে তার জনপ্রিয়তা তুলে ধরা হয়েছে। ২০০৭ সালে ঐশ্বর্যা রাই ও অমিতাভ বচ্চন তৃতীয় ভারতীয় অভিনয়শিল্পী হিসেবে লন্ডনের মাদাম তুসো জাদুঘরে তার মোমের মূর্তি স্থাপিত হয়। ২০১১ সালে তিনি শিশুদের শিক্ষা প্রদানে তার দাতব্য কর্মকাণ্ডের জন্য ইউনেস্কোর পিরামিড কন মার্নি পুরস্কার লাভ করেন, এবং তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন।২০১৪ সালে খান ইন্টারপোলের "টার্ন ব্যাক ক্রাইম" ক্যাম্পেইনের শুভেচ্ছাদূত হন। ২০১৫ সালে খান স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডিগ্রি অর্জন করেন।ভারতে শিশু ও নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রাখার জন্য ২০১৮ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম খানকে তাদের বার্ষিক ক্রিস্টাল পুরস্কারে সম্মানিত করে।


শাহরুখ খানের পুরষ্কার


  • ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার- ১৯৯৩, ১৯৯৪, ১৯৯৫, ১৯৯৬, ১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০১, ২০০৩, ২০০৫, ২০০৮, ২০১১, ২০১৯
  • জি সিনেমা পুরষ্কার- ২০০৩, ২০০৫, ২০১১, ২০১২, ২০১৪, ২০১৮
  • স্টারডাস্ট পুরষ্কার- ২০১৩, ২০১৪, ২০১৭
  • স্টার বক্স অফিস ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ডস- ২০১৪
  • স্ক্রিন সাপ্তাহিক পুরষ্কার- ২০০৩, ২০০৫, ২০০৭
  • মিরচি সংগীত পুরষ্কার- ২০১৪
  • বাচ্চাদের পছন্দ পুরষ্কার- ২০১৩
  • ইন্ডিয়ান টেলি অ্যাওয়ার্ডস- ২০০৭
  • আন্তর্জাতিক ভারতীয় চলচ্চিত্র একাডেমি পুরষ্কার- ২০০৩, ২০০৫, ২০০৮, ২০০৯, ২০১১
  • এশিয়ান ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস- ২০০৭
  • অপ্সরা চলচ্চিত্র প্রযোজক গিল্ড পুরষ্কার- ২০০৮, ২০১০, ২০১১, ২০১৪
  • বার্ষিক মধ্য ইউরোপীয় বলিউড পুরষ্কার- ২০০৭, ২০০৮, ২০১১
তিনি কোন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন না করলেও ২০০৫ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী সম্মাননায় ভূষিত করে।ফ্রান্স সরকার তাকে ২০০৭ সালে অর্দ্র দে আর্ত এ দে লেত্র,ও ২০১৪ সালে ফরাসি লেজিওঁ দনরের পঞ্চম পদ শ্যভালিয়ে খেতাব প্রদান করে। খান পাঁচটি সম্মানসূচক ডক্টরেট গ্রহণ করেন; প্রথমটি ২০০৯ সালে বেডফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, দ্বিতীয়টি ২০১৫ সালে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, তৃতীয়টি ২০১৬ সালে মৌলানা আজাদ জাতীয় উর্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, শেষ দুটি ২০১৯ সালে ইউনিভার্সিটি অব ল ও লা ট্রোব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।




Share with your friends if you love our-Expose Lifestyle


For more  Visit -Expose Lifestyle


 

Hope you liked this Shahrukh Khan biography, and if you have any queries or suggestions regarding the same, feel free to comment below.



No comments

Powered by Blogger.