Header Ads

Header ADS

Carles Puyol lifestory/lifestyle/biography

কার্লোস পুয়োলের জীবনী-Carles Puyol lifestory/lifestyle/biography



 Carles Puyol

নাম: কার্লোস পুয়োল
জন্মতারিখ : ১৩ এপ্রিল ১৯৭৮
জন্মস্থান: লা পোবলা ডে সেগুর, কাতালুনিয়া,স্পেন
উচ্চতা : ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি
প্লেয়িং পজিশন: ডিফেন্ডার



ব্যক্তিগত জীবন


  • পুয়োলের মাথার লম্বা কোকরানো চুল ছিলো তার পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে। তৎকালীন বার্সা কোচ লুইস ফন গাল ১৯ বছর বয়সী পুয়োলকে বলেছিলেন, " তোমার সমস্যা কি? চুল কাটো না কেনো? তোমার কাছে কি চুল কাটার টাকা নেই?"উত্তরে পুয়োল নিশ্চুপ ছিলেন!
  • কাজ না থাকলে পুয়োল শান্তভাবে থাকতে পছন্দ করতেন!পুয়োল নাইটক্লাবে যাওয়া একদম পছন্দ করতেন না!
  • রেস্টুরেন্টে বন্ধুদের সাথে খেতে পুয়োল পছন্দ করেন।
  • অবসর কাটাতে পুয়োল বাহিরে বেশি ঘুরাঘুরি পছন্দ করেন না বরং অবসরে পুয়োল বই পড়ে সময় কাটাতে পছন্দ করেন!
  • ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে পুয়োল স্প্যানিশ মডেল মালেনা কস্তার সাথে সম্পর্কে জড়ান! অক্টোবরে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে হোমম্যাচে হেডে গোল করে দর্শক সারির কাছে এসে দুহাত দিয়ে লাভ সাইন তৈরি করে সেলিব্রেশন করেন! ম্যাচ শেষে পুয়োল বলেছিলেন এই গোলটা তিনি তার গার্লফ্রেন্ডকে উৎসর্গ করেছেন!
    Carles Puyol and Vanessa Lorenzo
  • ২০১২ সালে পুয়োল তার বর্তমান স্ত্রী ভানেসা লরেঞ্জোর সাথে সম্পর্কে জড়ান! বর্তমানে তাদের দুটি কন্যা সন্তান মানুয়েলা(৬) ও মারিয়া (৪) .


ক্লাব ক্যারিয়ার

 Carles Puyol

পারিবারিক উৎসাহ ও উদ্দীপনায় #পুয়োল তার ক্যারিয়ার শুরু করেন স্থানীয় ক্লাব #Pobla_de_Segue_fc এর হয়ে একজন গোলরক্ষক হিসেবে!! কিন্তু কাধের ইঞ্জুরীর কারনে গোলকিপিং ছেড়ে দিয়ে একজন ফরওয়ার্ড হয়ে খেলা চালিয়ে যান।

১৯৯৫ সালে বার্সার আতুড় ঘড় নামে পরিচিত লা মাসিয়ায় যোগ দিয়ে আবারও নিজের পজিশন পরিবর্তন করে একজন ডিপেন্ডার হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করেন এবং ২ বছর #বার্সেলোনা-বি দলের হয়ে রাইট ব্যাক পজিশন নিয়ে খেলতে থাকেন!

১৯৯৮ সালে বার্সেলোনা র মধ্যে মৌখিক চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর পুয়োক ক্লাব ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান কারন প্রিয় বন্ধু #জাবি_হার্নান্দেজ সেই সময় বার্সেলোনা মূল দলে অভিষিক্ত হয়। মূলতঃ বন্ধুত্বের টানেই বার্সেলোনায় থেকে যান পুয়োল।

১৯৯৯ সালে বার্সেলোনার তৎকালীন কোচ #লুইস_ফন_গাল পুয়োলকে মূল দলে ডাকেন এবং ২ অক্টোবর রিয়াল ভ্যাল্লাদলিদের বিপক্ষে এওয়ে ম্যাচে অভিষেক হয় পুয়োলের!☺ঐ ম্যাচে বার্সেলোনা ২-০ গোলে জয় পায় এবং এরপর থেকে অনিয়মিতভাবে একজন সেন্টার ডিফেন্ডার হিসেবে বার্সেলোনার হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন!!

২০০৩ সালে বার্সেলোনা চরম অর্থনৈতিক মন্দার সময় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড পুয়োলকে কিনে নিতে উঠেপড়ে লাগে কিন্তু ঐ সময় শুধু পুয়োল নয় বার্সেলোনার সকল খেলোয়াড় প্রায় বিনা বেতনে খেলা চালিয়ে গিয়ে ইতিহাস তৈরি করে।

২০০৩-০৪ সিজন শেষে #লুইজ_এনরিকে অবসর নেয়ার পর #পুয়োল ক্যাপ্টের আর্মব্যান্ড এবং টানা দুই সিজন লীগ টাইটেল জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পুয়োলের নেতৃত্বে বার্সেলোনা তাদের ইতিহাসের দ্বিতীয় ইউরোপীয়ান টাইটেল জয় লাভ করে।
২০০৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর #পুয়োল ইউসিএল গ্রুপপর্বে #স্পোটিং_সিপির বিপক্ষে ক্লাব ক্যারিয়ারের ৪০০ তম ম্যাচ খেলেন।২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর #পুয়োল ক্যারিয়ারের ৫০০ তম ম্যাচ খেলেন #ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে।

২০১২ সালের শুরু থেকেই মূলত ইঞ্জুরীর সাথে পুয়োলের লড়াই শুরু হয়! দীর্ঘ ৬ সপ্তাহ হাটুর লিগামেন্ট ইঞ্জুরী রিকভারী করে উচল গ্রুপ পর্বে #বেনফিকার বিপক্ষে মাঠে নামেন পুয়োল কিন্তু পরের সপ্তাহে #গেতাফের বিপক্ষে মাঠে নেমেই দুই মাসের জন্য ইঞ্জুরীতে আক্রান্ত হন পুয়োল!
২০১৩ সালে ৬ষ্ঠ বারের মতো হাটুতে সার্জারি করাতে হয় পুয়োলের।২০১৪ সালের ২ মার্চ ক্লাবের সাথে দুই বছরের চুক্তি থাকা অবস্থায় তিনি ঘোষণা দেন এই সিজনেই তিনি অবসর নিতে যাচ্ছেন!!অবশেষে ২০১৪ সালের ১৫ মে ১৫ বছরের রঙিন ক্যারিয়ারের শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ফুটবল ক্যারিয়ার হতে অবসর ঘোষণা দেন!!


আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার

 Carles Puyol

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ২০০০ সালের ১৫ নভেম্বর #নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে পুয়োলের অভিষেক হয়।

ক্যারিয়ারে যে সকল মেজর প্রতিযোগিতায় পুয়োল দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন:


  • অলিম্পিক : ২০০০
  • ফিফা বিশ্বকাপ: ২০০২,২০০৬,২০১০(চ্যাম্পিয়ন)!
  • ইউরো: ২০০৪, ২০০৮ (চ্যাম্পিয়ন)
  • ফিফা কনফেডারেশন কাপ: ২০০৯(তৃতীয়) 

২০১২ সালের ইউরোতে হাটুর ইঞ্জুরীর কারনে স্কোয়াডের বাহিরে ছিলেন!ক্যারিয়ারের শততম এবং নিজের শেষ ম্যাচে পুয়োল ২০১৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী কাতারের দোহায় উরুগুয়ের বিপক্ষে খেলেন এবং ৩-১ গোলে স্পেন জয়লাভ করে।দেশের হয়ে পুয়োল ১০০ ম্যাচে মাত্র ৩ গোল করেন!

স্পেনের হয়ে পুয়োলের তিনটি গোল:


  • ১৭ এপ্রিল ২০০২ নর্দান আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে!
  • ১১ অক্টোবর ২০০৮ এস্তোনিয়ার বিপক্ষে!
  • ৭ জুলাই ২০১০ জার্মানির বিপক্ষে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে জাবির কর্ণার কিক হতে পুয়োলের একমাত্র হেডেড গোলে ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে পা রাখে স্পেন।

এখন দেখে নেই লিজেন্ড পুয়োলের ক্যারিয়ার পরিসংখ্যন:


  • Barcelona -B দলের হয়ে ৮৯ ম্যাচে ৬ গোল
  • Barcelona এর হয়ে ৫৯৩ ম্যাচে ১৮ গোল
  • Spain এর হয়ে ১০০ ম্যাচে ৩ গোল


পুয়োলের অর্জনসমূহ


  • Laliga :২০০৪-০৫, ২০০৫-০৬, ২০০৮-০৯, ২০০৯-১০, ২০১০-১১, ২০১২-১৩
  • CopaDelRey: ২০০৮-০৯, ২০১২-১৩
  • SuperCopa: ২০০৫,২০০৬, ২০০৯, ২০১০
  • UCL: ২০০৫-০৬, ২০০৮-০৯, ২০১০-১১
  • UEFASuperCup:২০০৯
  • FifaCWC: ২০০৯, ২০১১


আন্তর্জাতিক অর্জনসমূহ


  • ফিফা বিশ্বকাপ ২০১০ (চ্যাম্পিয়ন)
  • ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ : ২০০৮ (চ্যাম্পিয়ন)

  • অলিম্পিক-২০০০ (সিলভার মেডেল)
  • কনফেডারেশন কাপ-২০০৯( তৃতীয়)



ব্যক্তিগত সম্মান


  • লা লিগা বর্ষসেরা খেলোয়াড়:২০০১
  • বছরের ইএসএম দল: ২০০১-২০০২,২০০২-২০০৩,২০০৩-২০০৪২০০৫-২০০৬, 2002–03, 2004–05, 2005–06 
  • উয়েফার টিম অফ দ্য ইয়ার: ২০০২, ২০০৫, ২০০৬, ২০০৮, ২০০৯, ২০১০
  • উয়েফা ক্লাবের সেরা ডিফেন্ডার: ২০০৬
  • ফিফা / ফিফপ্রো ওয়ার্ল্ড ইলেভেন: ২০০৭,২০০৮,২০১০
  • উয়েফা ইউরো ২০০৮ টুর্নামেন্টের দল 
  • ২০০৯ ফিফা কনফেডারেশনস কাপ টিম টুর্নামেন্ট
  • ফিফা বিশ্বকাপ স্বপ্নের দল: ২০১০
  • বিবিভিএ ফেয়ার প্লে পুরষ্কার: ২০১১-১২
  • ইউইএফএর বছরের চূড়ান্ত দল (প্রকাশিত ২০১৫)
  • বিশ্ব একাদশ: একবিংশ শতাব্দীর দল 
  • উয়েফা ইউরো সর্বকালের একাদশ (প্রকাশিত ২০১৬)
  • গোল্ডেন ফুট: ২০১৬ ফুটবল কিংবদন্তি হিসাবে 
  • ওয়ান ক্লাব ম্যান অ্যাওয়ার্ড: ২০১৮ 
 Carles Puyol


Share with your friends if you love our-Expose Lifestyle


For more  Visit -Expose Lifestyle


 


Hope you liked this Carles Puyol biography, and if you have any queries or suggestions regarding the same, feel free to comment below.

No comments

Powered by Blogger.