বারাক ওবামার জীবনী- Barack Obama life story/ Barack Obama biography
Barack Obama |
জন্মঃ আগস্ট ৪, ১৯৬১ (বয়স ৫৮)
জন্মস্থানঃ হনলুলু, হাওয়াই
জাতীয়তাঃআমেরিকান
রাজনৈতিক দলঃ ডেমোক্র্যাটিক
দাম্পত্য সঙ্গীঃ মিশেল ওবামা (১৯৯২-বর্তমান)
সন্তানঃ মালিয়া অ্যান (জন্ম ১৯৯৮)
নাতাশা (শাশা) (জন্ম: ২০০১)
বাসস্থানঃ ক্যালোরেমা, ওয়াশিংটন ডিসি
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঃ অকিডেন্টাল কলেজ
কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি (বি.এ.)
হার্ভার্ড ল স্কুল (জে.ডি.)
পেশাঃ কমিউনিটি সংগঠক
আইনজীবী
সাংবিধানিক আইন অধ্যাপক
লেখক
ধর্মঃ খ্রিস্টান
জন্ম ও বাল্যকাল
বারাক ওবামা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের রাজধানী হনলুলুতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা কেনিয়ার লুও জাতির বারাক হুসেইন ওবামা (সিনিয়র) ছিলেন একজন অর্থনীতিবিদ এবং তার মা অ্যান ডানহ্যাম ছিলেন মার্কিন শ্বেতাঙ্গী (প্রধানত ইংরেজ ও আইরিশ)।ওবামার বাবা হাওয়াই-মানোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে অ্যান ডানহ্যামের সঙ্গে তার পরিচয় ও বিয়ে হয়।ওবামার ২ বছর বয়সে তার বাবা-মায়ের বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে। ওবামার মা পরে ইন্দোনেশীয় লোলো সুতোরোকে (জাভানীয়: Lolo Soetoro) বিয়ে করেন। ওবামার শৈশবের অনেকটা সময় কেটেছে ইন্দোনেশিয়াতে। ১০ বছর বয়সে তিনি তার হাওয়াইয়ে মাতামহ-মাতামহীর কাছে চলে আসেন। পরবর্তীতে ওবামা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে ডিগ্রি লাভ করেন।
পিতার দু:খ
জীবনে বাবার অনুপস্থিতি ওবামার জন্য যথেষ্ঠ বেদনাদায়ক ছিল। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর ওবামা মাত্র একবার তাঁর বাবাকে দেখেছিলেন, ১৯৭১ সালে ওবামা সিনিয়র যখন অতি অল্প সময়ের জন্য হাওয়াইতে এসেছিলেন – তখন।বাবার প্রসঙ্গে ওবামা বক্তব্য -”আমার বাবা স্বেচ্ছায় স্বর্গ ত্যাগ করেছিলেন, এবং কোনও কিছু বলেই আমার মা অথবা নানা-নানী (আমার মনের) সেই বেদনা ভোলাতে পারেননি। তাঁরা কেউই আমাকে বোঝাতে পারেননি যে, আমার বাবা আমার জীবনে থাকলে আমার জীবনটা কেমন হত।”হাওয়াই ঘুরে যাওয়ার দশ বছর পর ১৯৮১ সালে ওবামা সিনিয়রের জীবনে বিশাল এক বিপদ নেমে আসে। এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি তাঁর দুই পা হারিয়ে হুইলচেয়ারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তাঁর চাকরিও চলে যায়। পরের বছর তিনি আবারও সড়ক দুর্ঘটনায় পড়েন, এবার তিনি বেঁচে ফিরতে পারেননি। ১৯৮২ সালের ২৪শে নভেম্বর ওবামা সিনিয়র মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর ছেলের বয়স তখন ২১ বছর।
শিক্ষা জীবন
ওবামা হাওয়াইয়ের বিখ্যাত পূনাহু একাডেমিতে ভর্তি হন। ভালো ছাত্রের পাশাপাশি ভালো একজন বাস্কেটবল খেলোয়াড় হিসেবেও প্রশংসা কুড়ান। ১৯৭৯ সালে তিনি একাডেমি থেকে পাশ করেন। হাইস্কুল শেষ করার পর লস এ্যাঞ্জেলস এর অকসিডেন্টাল কলেজে দুই বছর পড়াশুনা করেন ওবামা। এরপর তিনি নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে স্থানান্তরিত হন, এবং সেখান থেকেই ১৯৮৩ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন।বারাক ওবামা পড়াশোনা করছেন আইন, রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয় নিয়ে৷ ওবামা ১৯৮৮ সালে হার্ভার্ডের আইন বিদ্যালয়ে ভর্তি হন।আইন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেন হার্ভাড বিশ্ব বিদ্যালয়ে৷
পারিবার
Barack Obama Family |
রাজনৈতিক জীবন
Barack Obama |
শান্তিতে নোবেল জয়
Barack Obama |
সম্মাননা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্ববিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ৩২ জনের নাম 'পার্সন অফ দ্য ইয়ার' হিসেবে মনোনীত করে। ওই তালিকায় - স্টিভ জোবস, আঙ্গেলা মার্কেল, সিলভিও ব্যার্লুস্কোনি, লিওনেল মেসি প্রমুখ বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিত্বদের পাশাপাশি তিনিও স্থান পেয়েছেন৷[৪] ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের তিনি দ্বিতীয় বারের মতো টাইম ম্যাগাজিনের পার্সন অব দি ইয়ার মনোনীত হয়েছেন।
বিদায় সম্ভাষণ
Barack Obama |
বারাক ওবামার জীবনী থেকে নেয়া কয়েকটি মজার তথ্য
- ওবামা যখন কেবলই ১২ বছরের বালক, তাঁর মা ছেলের প্রতিভা দেখে এক বন্ধুকে বলেছিলেন বড় হলে ও একদিন হয়তো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবে।
- তরুণ বয়সে এক মেয়ের প্রেমে পড়ে তাকে নিয়ে বেশ কয়েকটি কবিতা রচনা করেছিলেন বারাক ওবামা।
- সোয়াহিলি ভাষায় বারাক শব্দের অর্থ “যার ওপর আশির্বাদ বর্ষিত হয়েছে”
- ইন্দোনেশিয়ায় থাকার সময়ে তাঁর টাটা নামে একটি পোষা শিম্পাঞ্জী ছিল।
- হাইস্কুলে পড়ার সময়ে বাস্কেটবলে দক্ষতার কারনে তাঁকে “ও-বোম্বার” নামে ডাকা হত।
- ওবামা কমিকস বইয়ের দারুন ভক্ত। এছাড়া হ্যারি পটারের সবগুলো বই তাঁর পড়া। তিনি এখনও স্পাইডার ম্যান এবং “কোন্যান দি বারবেরিয়ান” এর কমিক বই সংগ্রহ করেন।
- ইন্দোনেশিয়ায় বসবাসের সময়ে তিনি কুকুরের মাংস, সাপের মাংস এবং ঘাসফড়িং ভাজির মত উদ্ভট খাবার চেখে দেখেছেন।
- ছোটবেলায় তাঁর ডাকনাম ছিল “ব্যারি”। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঠার পরই তাঁকে তাঁর পুরো নামে ডাকা হত।
Share with your friends if you love our-Expose Lifestyle
For more Visit-Expose Lifestyle
Hope you liked this Barack Obama biography, and if you have any queries or suggestions regarding the same, feel free to comment below.
No comments